শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে শিক্ষার্থীদের ভাবনা
করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর খুলেছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। টানা ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যখন ক্লাস ও পরীক্ষাগুলো নেওয়া শুরু হয়েছিল। টিকা গ্রহণের পরও এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কথা শুনে অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে শুরু হয় নানা সংশয়। এমন কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত তুলে ধরছে জাগো নিউজ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন মো. ইসমাম হোসেন—
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নূর আলম বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে অব্যাহতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৌনে দুই বছর বন্ধ ছিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে একটু একটু করে চালু হচ্ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে পড়াশোনার কার্যক্রম। যখনই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস-পরীক্ষা নিতে ব্যস্ত; ঠিক তখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় ফের অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে শিক্ষার্থীদের। সব মিলিয়ে একধরনের হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে শিক্ষাব্যবস্থায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বাড়ছে। এ আবহে বাংলাদেশে তালা ঝুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজায়। তবে গার্মেন্টস, সিনেমা হল, বিনোদন কেন্দ্র, শপিংমল সবই খোলা। কোথাও থেমে নেই কোলাহল। সব কিছু চলমান রেখে শুধু শিক্ষা কার্যক্রমের গতিরোধ করা কতটা যুক্তিযুক্ত? বর্তমান পরিস্থিতিতে সব কিছু চলমান রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি নেই।’