২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিউজ আপডেট

হোমঅল ক্যাটাগরিদাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা উপাচার্যের, হলে ফিরলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা উপাচার্যের, হলে ফিরলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা উপাচার্যের, হলে ফিরলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রক্টর লিয়াকত আলীকে প্রত্যাহার, ছাত্র নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের, নিহত ছাত্রের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি রাবি উপাচার্য মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।

এর আগে রাত ১০টা থেকে শত শত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা কাঠখড়িতে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা যান মাহমুদ হাবিব হিমেল। এ সময় হিমেল এক বন্ধুসহ ক্যাম্পাস থেকে হলে ফিরছিলেন। হিমেলের মৃত্যুর খবরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি ট্রাক ও নির্মাণ শ্রমিকদের ঘরে আগুন দেয়।

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

নিহত মাহমুদ হাবিব হিমেলের বাড়ি বগুড়ায়। হিমেলের বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা দুই সন্তানসহ নাটোরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্‌স ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মোটরসাইকেলে হিমেলের সঙ্গে থাকা রায়হান প্রামাণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাত ১২টার পর ক্যাম্পাসে যান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি শুনে মেয়র চলে যাওয়ার পর উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে অনিরাপদ ও অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণকাজ চলছে। যার কারণে এ দুর্ঘটনা। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার পর প্রক্টরকে জানানো হলে তিনি মিটিংয়ের অজুহাত দিয়ে ঘটনাস্থলে যাননি। শিক্ষার্থীরা হিমেল হত্যার বিচার দাবি করেন এবং ভবিষ্যতে যেন আর এমন কোনো ঘটনা না ঘটে, তার নিশ্চয়তা চান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সব নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। চালক গ্রেপ্তার ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Share With:
Rate This Article
Author

healthtechbd24@gmail.com

No Comments

Leave A Comment